সোপিরেট- এর জন্য সমৃদ্ধি প্রকল্প পি.কে.এস.এফ এর অর্থায়নে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে, রামগঞ্জ উপজেলা ২ নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নে এবং অপর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে শুরু করা হয়। দুইজন সমৃদ্ধি কর্মসূচি কো-অর্ডিনেটর, দুইজন সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা, চারজন সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, দুইজন এমআইএস কর্মকর্তা এবং একজন পারিবারিক উন্নয়ন কর্মকর্তা সমন্বয়ে এ প্রকল্প পরিচালিত হয়। সমৃদ্ধি প্রকল্প মুলতঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি এবং কমিউনিটি ভিত্তিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম নিয়ে কাজ করা হয়। গ্রামের ঝরে পড়া, হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। এ লক্ষকে সামনে রেখে সোপিরেট সমৃদ্ধি প্রকল্প ২ নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মোট ২০ টি এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মোট ২৫ টি স্কুল কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কেন্দ্র গুলোতে মোট ৪৫ জন শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং নিয়োগ পরবর্তী তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে গুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু, প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিদ্যালয় ছুটির পর পাঠদান দেয়া হয়। এ পাঠদান মূলতঃ সিলেবাস অনুযায়ী দেয়া হয়। অর্থাৎ যে পাড়াটির ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়ানো হয় ঠিক সেই পাড়াটিই আমাদের শিক্ষিকা দ্বারা পড়ানো হয়।
জুন মাস শেষে আমাদের ৪৫ টি শিক্ষা কেন্দ্রে মোট ১১৭১ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিশু শ্রেণীর ৪৭২ জন, ১ম শ্রেণীর ৩৬২ জন এবং ২য় শ্রেণীর ৩৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পগুলোতে ২৪ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন। যাদের কাজ হচ্ছে প্রতিদিন কর্ম দিবসে এরিয়া ভিত্তিক গ্রামে গিয়ে খানা জরিপ করা, স্বাস্থ্য কার্ড বিক্রি করা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা এবং রুগী সনাক্ত করে আমাদের স্যাটেলাইট ক্লিনিকে নিয়ে আসা। আমরা ২ জন এম.বি.বি.এস ডাক্তার দ্বারা ২ নং নোয়াগাঁও এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাসে ১৬ টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক করে থাকি। এ ক্লিনিক গুলোতে বিভিন্ন ধরনের রুগীর সমাগম হয়। এছাড়া প্রতিদিন কর্ম দিবসে স্ট্যাটিক ক্লিনিক এ ৪ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসা সেবা প্রদা করে থাকে। প্রতি বছর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা ৬ টি সাধারন ক্যাম্প ও দুইটি বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যেগুলো হচ্ছে শিশু রোগ চিকিৎসা ক্যাম্প, মেডিসিন চিকিৎসা ক্যাম্প, গাইনি এবং নাক, কান ও গলা চিকিৎসা ক্যাম্প। বছরে দুইটি বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে ৩০ জন রোগীর ছানি অপারেশন করা হয়।