সোসাইটি ফর প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন রিসার্চ ইভালুয়েশন এন্ড ট্রেনিং (সোপিরেট)
লক্ষীপুর সদর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সালে সোপিরেট তার কার্যক্রম শুরু করেছিল| ১৯৯২ সালে সদর ও রামগঞ্জ দুইটি শাখার মাধ্যমে সংস্থাটি ঋণ কার্যক্রম শুরু করে| ১৯৯৩ সাল থেকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে স্বল্প সার্ভিস চার্জে সংস্থাটিকে আর্থিক সহয়তা প্রদান করে আসছে| লক্ষীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী (০৫ টি) জেলায় বর্তমানে সংস্থার ৪০ টি শাখা রয়েছে|
রূপকল্প, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
সোসাইটি ফর প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, রিসার্চ, ইভালুয়েশন এন্ড ট্রেনিং (সোপিরেট) ১৯৮৫ সালের জুলাই মাসে “সমাজ সেবা অধিদপ্তর” – থেকে একটি অলাভজনক বেসরকারী সংস্থা হিসাবে নিবন্ধিত হয়| এই বর্ণিত রূপকল্প, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে| সংস্থাটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে|
রূপকল্প (Vision):
বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সুসাস্থ্য, দারিদ্র মুক্ত ও শিক্ষিত বাংলাদেশ গড়াই হচ্ছে সোপিরেট এর রূপকল্প|
লক্ষ্য (Mission):
দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ঋণ সহায়তা প্রদান করা এবং তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনয়নে সাহায্য করা|
সংস্থার বিভিন্ন নিবন্ধন নম্বর:
উদ্দেশ্য (Objective):
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দারিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের ঝরে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা রোধে সহায়তা করা| নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করা এবং সময় উপযোগী স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা| দারিদ্র নিপীড়িত জনগণকে সংঘবদ্ধ করে সমিতি গঠনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নতন করা| ঋণ কার্যক্রমে মহিলাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদেরকে সরাসরি উৎপাদনে সম্পৃক্তকরণ ও পারিবারিক বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা| গ্রামের দারিদ্র মানুষের মাঝে সঞ্চয়ী মনোভাব বৃদ্ধি করা| দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো| ঋণ কর্মসূচির ফলে গরিব জনসাধারণের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে সার্ভিস চার্জ উপার্জনের মাধ্যমে সংস্থাকে আত্মনির্ভরশীল করা| পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক বনায়নে সহায়তা করা| ঘূর্ণী দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পুনর্বাসনের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা করা| গ্রামের দারিদ্র কৃষকদের মৌসুমী ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষি কাজে সহায়তা করা| গ্রামের দারিদ্র লোকদের মৌসুমী ঋণ প্রদান করে গরু মোটা-তাজা করণের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে সচ্ছল করা| সমাজে মানুষের সময়, জ্ঞান, শক্তি ও সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা| শিক্ষা, প্রশিক্ষন ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অভীষ্ট জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলা| সমৃদ্ধি কার্যসূচির মাধ্যমে সমৃদ্ধিভুক্ত ইউনিয়নকে একটি সমৃদ্ধশালী উনিয়নে পরিণত করা|
সুশাসন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা:
দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নের মহান লক্ষে সোপিরেট – এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালের জুলাই মাসে| প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং উত্তরোত্তর সাফল্যের পথে এগুচ্ছে| প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমুন্নত রাখা ও সর্বক্ষেত্রে সুশাসন অব্যাহতভাবে প্রতিপালনের বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রতি বছর সাধারণ পরিষদের (General Committee) সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে| এই সাধারণ সভার সম্মানিত সদস্যবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়/কর্মকান্ড বিস্তারিত আলোচনা শেষে অনুমোদনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন| বর্তমানে সাধারণ পরিষদের ১৫ জন সদস্য আছেন| প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর এই সাধারণ পরিষদেও সম্মানিত সদস্যবৃন্দ প্রতিষ্ঠানকে আরও নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য তাঁদের মধ্য থেকে একটি কার্য নির্বাহী কমিটি (Executive Committee) নির্বাচন করে থাকেন|
কার্যনির্বাহী কমিটি (Executive Committee)
সংস্থার মূল কর্মকান্ড, নীতিমালা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা ও তার সঠিক বাস্তবায়ন তদারকি করার জন্য নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি বছর নুন্যতম চারবার বৈঠকে বসেন এবং প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন| বিগত এক বছরে ৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়|